এই আদেশ কার্যকর করে ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদেশে কারখানা বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের চিঠি পাওয়ার পর ওইসব কারখানার পানি, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে ওয়াসা, তিতাস ও ডিপিডিসিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) করা এক আবেদনের শুনানিকালে সোমবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালত রাজধানী ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকায় পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া আরও কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে কিনা সে ব্যাপারে তিন মাসের মধ্যে বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করতে পরিবেশ অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আবু ইয়াহিয়া দুলাল এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আমাতুল করিম।
পরে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তর রবিবার একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বুড়িগঙ্গার উত্তর পাশে ২৩১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিবেশগত ছাড়পত্র ছাড়া রয়েছে। আদালত এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান অবিলম্বে বন্ধের আদেশ দিয়েছেন। এছাড়া বুড়িগঙ্গার দক্ষিণ পাশে কেরানীগঞ্জ এলাকায় বর্জ্য ফেলে নদীর পানি দূষণ করা হচ্ছে। এই বর্জ্য ফেলা অবিলম্বে বন্ধ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেরানীগঞ্জের ওসি, ইউএনও, ঢাকার ডিসি ও এসপিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এসব আদেশ বাস্তবায়ন করে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, এইচআরপিবির করা এক রিট মামলায় হাইকোর্ট ২০১১ সালে এক রায়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর থেকে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেয়। এছাড়া নদীর পানি যাতে দূষিত না হয় সেজন্য সব ধরনের বর্জ্য ফেলা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এই রায়ের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠান থেকে তরল বর্জ্য নদীতে ফেলা হচ্ছে। যা নদীর পানিকে দূষিত করছে। যা গত বছরের শেষের দিকে এইচআরপিবির পক্ষ থেকে আদালতের নজরে আনা হয়। হাইকোর্ট গত বছরের ১৩ অক্টোবর এক আদেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের কাছে প্রতিবেদন চান। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার আদেশ দেয়া হয়।